নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোচিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা হয়েছে। মানহানির এই মামলাটি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। দুর্নীতির মাধ্যমে গোলাপ বিদেশে একাধিক বাড়ি করেছেন বলে যে অভিযোগ তুলেছেন সুমন, সেই প্রেক্ষিতে এই মামলা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমি ব্যারিস্টার সুমনকে নোটিস পাঠাই। তারপর বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছি।
এই বিষয় কথা বলার জন্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। সুমনের গ্রামের বাড়ি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায়।
জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি। এই তথ্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপি তাদের ওয়েবসাইটে করা একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।
ওসিসিআরপির বিষয়টি উল্লেখ করে গত ২৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে অভিযোগ জমা দেন ব্যারিস্টার সুমন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং অন্য দেশে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় এসব তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ব্যারিস্টার সুমন অভিযোগ জমা দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের আরও বলেন, মাদারীপুরের সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, যার বিষয়ে আমি একটা ভিডিও করেছি। ‘অরগানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের একটি প্রজেক্ট। যেখানে বলা হয়েছে, আব্দুস সোবহান গোলাপ নিউইয়র্কে নয়টা প্রপার্টিজ করেছেন, যেগুলো তার নিজের নামে আছে এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেননি।
সুমন আরও বলেন, এমপি গোলাপ শপথ নেওয়ার সাত মাস পর আমেরিকান সিটিজেনশিপ ত্যাগ করেছেন। অথচ আমাদের কনস্টিটিউশনে (সংবিধানে) আছে, আপনার যদি বিদেশি নাগরিকত্ব থাকে, তাহলে কোনোভাবেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট বলেছে, বিষয়টি দুদক দেখবে।
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: