নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের নির্যাতনে আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) দুই ছাত্র সাকিব হোসেন ও জাহিদ হোসেনের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁরা। তবে এখনো মানসিকভাবে মুষড়ে আছেন দুই ছাত্র।
পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, হাসপাতালে আর কদিন থাকতে হবে, তা চিকিৎসকেরা শনিবার জানাবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
ছাত্রশিবির সন্দেহে ৮ ফেব্রুয়ারি চমেক চতুর্থ বর্ষের চার ছাত্রকে প্রধান ছাত্রাবাসের তিনতলার একটি কক্ষে (১৭ সি) নিয়ে মারধর করা হয়। সাকিব ও জাহিদের সঙ্গে আরও দুজন ছাত্রকেও মারধর করা হয়। তাঁরা হলেন আবু রাইয়াত ও মোবাশ্বির হোসেন। দুজনই এখন তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অবশ্য নির্যাতিত ছাত্রদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ছাত্ররা কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।
ছাত্রলীগের নির্যাতনে আহত সাকিব ও জাহিদকে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের আইসিইউ থেকে ছাত্র কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেবিনে তাঁদের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে দুজন আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাকিবের ভাই মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাকিবের শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। জাহিদও সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। হাসপাতালে থাকতে হবে কি হবে না, তা শনিবার জানাবেন চিকিৎসক।
শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও দুজনই মানসিকভাবে এখনো বিপর্যস্ত বলে জানান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, সাকিব ও জাহিদ দুজনই ঘুমের মধ্যে মাঝে মাঝে কেঁপে উঠছেন।
এই মানসিক অবস্থার কারণে তাঁরা দুশ্চিন্তায় আছেন।
চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারী অধ্যাপক রিজোয়ান রেহান প্রথম আলোকে বলেন, দুই ছাত্রের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাঁরা আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
0 coment rios: