নিউজ ডেস্ক: তরুণ ছাত্রনেতা নাহিদুল ইসলাম নাহিদ এর চোখেমুখে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। প্রতিহিংসাহীন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় বিভোর থাকতেন তিনি। এ কারণে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও রাজনৈতিক অঙ্গনে পা রাখেন এই ছাত্রনেতা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক নিবেদিত কর্মী নাহিদুল ইসলাম নাহিদ। ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকেই প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে হাজির রেখে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন এই তরুণ। এরইমধ্যে চব্বিশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূত্রপাত যা পরবর্তীকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিলেন তিনি। ভীষণ দুঃসময়ে সাধারণ মানুষকে এক রাখতে তার ভূমিকা ছিল অন্যতম।
সম্প্রতি ডিবি নিউজ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিজের অভিজ্ঞতা ও অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি। বলেন আন্দোলনের নানা দিকের কথা।
একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা যতটা সহজ ছিল, ছাত্রদল কর্মী হিসেবে আমাদের জন্য তা ছিল ততটাই চ্যালেঞ্জিং। কারণ, ছাত্রদলকে নিয়ে বিতর্ক তৈরির একটি সুযোগ সবসময়ই খুঁজতো তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার। একদিকে সংবাদমাধ্যমগুলো ছাত্রদলের অনুপস্থিতি নিয়ে খবর প্রকাশ করে, আবার যখন আমরা আন্দোলনে আসতে চাই, তখন বাধা দেওয়া হয় এই বলে যে ছাত্রদল আসলে আন্দোলন ভিন্ন খাতে চলে যাবে। এইরকম কঠিন পরিস্থিতি ছিল আমাদের জন্য।
তারপরও আমরা বিভিন্ন ভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছিলাম এবং জনমত তৈরী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সকল ধরনের মানুষের অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন ভাবেই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সহযোগিতা করে আসছিলাম।
আমাদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সবাইকে একসাথে নিয়ে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করানো।
এবং এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল স্বৈরাচারী সরকারের ভুল করার সুযোগ নেওয়া। আমরা জানতাম, ফ্যাসিবাদী সরকার ভুল করবেই। সেই ভুলের সুযোগ নিতে হলে রাজনৈতিক কর্মীদের এই আন্দোলনে যুক্ত করা প্রয়োজন ছিল, যেন সরকার ভুল করলে তার সুযোগ নেওয়া যায় এবং প্রয়োজনে ভুল করতে প্ররোচিত করা যায়।
আন্দোলনে মানুষকে একসাথে করতে আমাদের প্রথম কাজ হয়েছিল অনলাইন গ্রুপ তৈরির মাধ্যমে সবাইকে একযোগে একসাথে নিয়ে আসা। যেন অল্প সময়ের মধ্যে সবার কাছে আন্দোলনের সকল নির্দেশনা পৌঁছাতে পারে।
এভাবেই আন্দোলনের প্রথম দিক শুরু হয় এবং এটা একপর্যায়ে গণআন্দোলনের রুপ নিয়েছিল।
আমার চাওয়া হচ্ছে এই বাংলাদেশে আর কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত না হোক। প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে মুক্ত হয়ে, সকল মতপথ, হিংসা সবকিছুকে ছাড়িয়ে, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী আদর্শের নীতিতে একটি বৈষম্যহীন, সম্প্রীতিমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠন করাটাই হবে এখন আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
0 coment rios: