February 26, 2023

সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি

সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি

 

  ডাকাতরা ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ টাকা ও            স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। © সংগৃহীত।


ডেস্ক রিপোর্ট : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) আব্দুল জলিলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে ডিআইজির শ্রীপুররের মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়।

এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে ঘরে থাকা পুলিশের ইউনিফর্ম, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুুট করে নিয়ে যায়।

এডিশনাল ডিআইজি বলেন, শনিবার রাত ১টার দিকে তাদের গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়। ওই বাড়িতে আমার বাবা ও মা বসবাস করেন। তারা দুজনেই হৃদরোগী। ডাকাতরা ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সংসার খরচের টাকা, আমার ইনিফর্ম ও মায়ের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের বাবা আব্দুল বাতেন বলেন, শনিবার রাতে খাবার খেয়ে আমরা বসত ঘরে ঘুমিয়ে যাই। রাত ১টার দিকে কালো মুখোশধারী ৭/৮ জনের ডাকাত দল মই ব্যবহার করে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকে গেটের তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে কয়েকজন ডাকাত সদস্য আমাদের গলায় রামদা ঠেকিয়ে ঘিরে ধরে। বাকিরা ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ও আমার ছেলের দুই সেট ইউনিফর্ম নিয়ে যায়। সবার পরনে কালো রঙের গেঞ্জি, হাফ প্যান্ট ও মুখে কালো মুখোশ ছিল। তারা ঘর থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মোল্ল্যা বলেন, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ির পেছনে মই দিয়ে সীমানা প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতর ঢুকে। এরপর আধ পাকা টিনসেড বারান্দায় থাকা থাই গ্লাস খুলে তালা কেটে আব্দুল বাতেনের শোবার ঘরে ৪/৫ জন ছুরি, শাবল ও রড নিয়ে প্রবেশ করে। পরে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে মালামাল লুটে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনা পরপরই ওই ডাকাতদল রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই আড়াই কিলোমিটার দূরে ইন্দ্রপুর গ্রামের ফয়সালের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানেও তারা নগদ টাকা ও মালামাল লুটে নিয়ে চলে যায়।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ডাকাতির ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চলছে

February 25, 2023

গোলাপগঞ্জে মায়ের সামনে থেকে জোরপূর্বক কিশোরীকে অপহরণ

গোলাপগঞ্জে মায়ের সামনে থেকে জোরপূর্বক কিশোরীকে অপহরণ


 গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জে মায়ের সামনে থেকে জোরপূর্বক এক হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার ৬দিন পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ওই কিশোরীকে৷


গত (১৯ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নিজ ঢাকাদক্ষিণ এলাকার বিদাইটিকর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


এঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে ৪জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের নামে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং-২৪, তাং, ২৩/০২/২০২৩ইং) দায়ের করেন।


এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রাত অানুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে যায়। তখন পূর্ব থেকে ওতৎ পেতে থাকা প্রতিবেশী তারেক আহমদ (১৯) সহ আরও ৪/৫জন অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে দেখে মেয়ের মা চিৎকার দিয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে অনেক চেষ্টা করেও তাদের আটকাতে না পেরে তিনি নিজে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরবর্তীতে চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে কিশোরীর মাকে ঘরে নিয়ে যান।  


এব্যাপারে কোন সুরাহা করতে না পেরে পরদিন স্থানীয়দের পরামর্শে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (ডায়েরী নং-১০০৮, তাং ২০/০২/২৩) করেন।


এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর কাছে বিচারপ্রার্থী হলে তারা আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় ৪জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। অপহরণের ৬দিন পেরিয়ে গেলেও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।


ভিকটিমের পরিবার জানায়, অভিযুক্ত তারেক কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা প্রকার উৎপাত করে আসছিল। একপর্যায়ে কিশোরীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তাকে নিরাপত্তার স্বার্থে নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন আগে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরলে পূর্ব থেকে ওতৎ পেতে থাকা অভিযুক্ত যুবক সন্দেহজনক ভাবে বাড়ির আশেপাশে ঘুরাফেরা করতে থাকে এবং ওইদিন রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ভিকটিম ঘর থেকে বের হলে অভিযুক্তরা কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বর্তমানে ভিকটিমের মাসহ পরিবার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছেন।


গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্ঠা চলছে।

February 19, 2023

গোলাপগঞ্জের ২ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদমিনার

গোলাপগঞ্জের ২ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদমিনার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও গোলাপগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহিদমিনার। ফলে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের পুষ্পস্তবকের মাধ্যমে যথাযত শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়টি উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ২৬টি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শহিদমিনার। বাকি ১৫৪ বিদ্যালয়ে শহিদমিনার নেই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় স্কুল ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ১৯টি স্কুলে শহিদমিনার রয়েছে। ২৪টি স্কুল ও বাকি মাদ্রাসাগুলোর একটিতেও শহিদমিনার নেই।

এদিকে শহিদমিনার না থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কলাগাছ দিয়ে শহিদমিনার তৈরি করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়াও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শহিদমিনারে ফুল দিয়ে থাকেন।

সাদিকুর রহমান নামে এক শিক্ষক বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহিদমিনার থাকা জরুরি। এতে কোমলমতি শিশুরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে পারবে। বড় হয়ে তারা দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।

সাহেদ আহমদ নামে আরও এক শিক্ষক বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১টি শহিদমিনার স্থাপন করা এখন সময়ের দাবী। দেশ দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ইচ্ছা করলে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১টি শহিদমিনার স্থাপন করা সম্ভব।

রণকেলী নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্র চন্দ্র দাশ বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে স্কুলে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। রয়েছেন ৬ জন শিক্ষক। সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় প্রতিষ্ঠার এতো বছরেও শহিদমিনার নির্মাণ হয়নি।’

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহিদমিনার হোক। ভাষার জন্য যারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদেরকে আমাদের সন্তানরা ভাল করে চিনতে হবে।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম বলেন, শহিদমিনারের জন্য সরকারিভাবে আলাদা কোন বরাদ্দ দেওয়া হয় না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শহিদমিনার নির্মাণ হয়ে থাকে। এজন্য প্রতিটি এলাকার মানুষ যদি এগিয়ে আসেন তাহলে শহিদমিনার নির্মাণ করা সম্ভব।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী মজুমদার বলেন, উপজেলার স্কুল ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র ১৯টি স্কুলে শহিদমিনার রয়েছে।
সিলেটে স্থানীয় সরকারের প্রকল্প: এক টয়লেট বানাতেই ৩০ লাখ

সিলেটে স্থানীয় সরকারের প্রকল্প: এক টয়লেট বানাতেই ৩০ লাখ

 

সিলেট ডেস্ক : দেশের বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বন্যা আক্রান্ত এলাকায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার পুনর্নির্মাণে জরুরি সহায়তা শীর্ষক এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্পের যে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে, তাতে কয়েকটি খাতে অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশনও।

পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, বন্যাকবলিত সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ৬৩ উপজেলার ৪৯৫টি ইউনিয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় স্থানীয় সরকার বিভাগ। তাদের অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় ১০৫টি এ-টাইপ পাবলিক টয়লেট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি টয়লেটে ব্যয় হবে ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া অন্যান্য প্রকল্পে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের ব্যয় হচ্ছে ৮ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে।

২০২১ সাল থেকে চলমান গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্পে ২ হাজার ৪৬০টি এ-টাইপ পাবলিক টয়লেট স্থাপনে খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। এখানে প্রতি টয়লেটে ব্যয় হচ্ছে ১৭ লাখ টাকা।

গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৪৬০টি বি-টাইপ পাবলিক টয়লেট স্থাপনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, প্রতিটির নির্মাণ খরচ ৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২৫ শহর প্রকল্পে ২০ লাখ টাকা করে ১৮০টি পাবলিক ল্যাট্রিন বানাতে খরচ ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবিত প্রকল্পে ১০০টি মোবাইল টয়লেটের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রতিটির খরচ পড়বে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে আরএফএলসহ স্থানীয় বিভিন্ন উৎপাদকের আউটলেট ও ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত মোবাইল টয়লেটের দাম ২৭ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে।

বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস ঘুরে দেখা গেছে, চীন ও ভারতের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল টয়লেটের দামও ১ লাখ টাকার বেশি নয়।

শুধু টয়লেট নির্মাণের ক্ষেত্রেই নয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্প প্রস্তাবনায় গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য যে ব্যয় ধরা হয়েছে- প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। এ প্রকল্পে ১ হাজার ৭৫০টি ডাবল প্ল্যাটফর্মসহ গভীর হ্যান্ড টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য চাওয়া হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। এতে প্রতিটির খরচ পড়ছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এ ছাড়া ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে ৯ হাজার ১০০টি সাবমারসিবল পাম্প এবং রেইজড প্ল্যাটফর্মসহ গভীর নলকূপ স্থাপনের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

গত বছরের মে-জুন মাসের বন্যায় দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল সিলেট। এখানকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন জানান, দেড় ইঞ্চি ব্যাস ও ২৫০ মিটার গভীরতার নলকূপ স্থাপন করতে সাধারণত ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী বন্যাকবলিত এলাকায় টাইলস ফিটিংসহ পাবলিক টয়লেট নির্মাণে সর্বোচ্চ ব্যয় হতে পারে ২০-২২ লাখ টাকা।

তাহলে স্থানীয় সরকারের প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে টয়লেট ও নলকূপ স্থাপনে ব্যয় কেন বেশি ধরা হয়েছে- সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) এমদাদ উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রকল্প প্রস্তাবে বেশ কিছু খাতে বেশি ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় এসব সংশোধন করে ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে বলা হয়েছে।

প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ৩৩৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২৮৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা (২ কোটি ৮০ লাখ ডলার) ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাকি ৫৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকার জোগান দেবে সরকার।

প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাম্প্রতিককালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ সুবিধা পাবে এবং ভবিষ্যতেও বন্যায় দুর্ভোগ ঠেকাতে তা সহায়ক হবে।

এ ছাড়া ভবিষ্যতে বন্যাকালীন ও পরবর্তী সময়ে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে জরুরি সহায়তাও দেওয়া যাবে। অনুমোদন পেলে প্রকল্প বাস্তবায়নে আড়াই বছর লাগবে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) তুষার মোহন সাধু খা বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পের সংশোধন করা হবে। এবং ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে।

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় অতিরিক্ত দামে পণ্য কিনতে চাওয়ার বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়গুলো ভালো করে খতিয়ে দেখা দরকার। যারা এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত তারা হয়তো যোগসাজশে অর্থ আত্মসাৎ করতেই এ ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে। তাই প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণের আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা জরুরি। নইলে এ ধরনের অন্যায় চলতেই থাকবে।

February 17, 2023

ব্রয়লার মুরগির দামে রেকর্ড, গরু ৭৫০

ব্রয়লার মুরগির দামে রেকর্ড, গরু ৭৫০

 নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০০ টাকা। গত কয়েকদিন ধরে খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকায়। এর আগে দেশের বাজারে কখনো ব্রয়লার মুরগির দাম এতো বাড়েনি।


এমতাবস্থায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার প্রোটিন যোগানদানকারী এই ব্রয়লার মুরগি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন।


শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির মতো বাড়তি দেখা গেছে গরুর মাংসের দাম। বেশিরভাগ বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকায় মিলতো।

সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মতো। সেগুনবাগিচা ও মালিবাগ বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায়। বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়।

খাসির মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১১শ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়।

গত এক মাসে দেশি মুরগির দামে অবশ্য বড় কোনো পার্থক্য নেই। তবে ডিমের দাম বাড়তি। প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।

সবজির দামেও গত সপ্তাহের তুলনায় পার্থক্য দেখা গেছে। আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। শসা প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, করলা ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা, কেজিপ্রতি মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৯০-১০০ টাকা ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। লেবুর হালি ২০-৩০ টাকা।

পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। কমেছে রসুনের দাম। বড় রসুনের কেজি ২০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বড় রসুনের কেজি ছিল ২২০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।

কমেছে আদার দাম। কেজিতে ৬০ টাকা কমে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে আদার কেজি ছিল ৩০০ টাকা।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা। লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।
ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা!

ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোচিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা হয়েছে। মানহানির এই মামলাটি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। দুর্নীতির মাধ্যমে গোলাপ বিদেশে একাধিক বাড়ি করেছেন বলে যে অভিযোগ তুলেছেন সুমন, সেই প্রেক্ষিতে এই মামলা করা হয়েছে।


গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমি ব্যারিস্টার সুমনকে নোটিস পাঠাই। তারপর বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছি।


এই বিষয় কথা বলার জন্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। সুমনের গ্রামের বাড়ি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায়।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি। এই তথ্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপি তাদের ওয়েবসাইটে করা একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।

ওসিসিআরপির বিষয়টি উল্লেখ করে গত ২৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে অভিযোগ জমা দেন ব্যারিস্টার সুমন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং অন্য দেশে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় এসব তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

ব্যারিস্টার সুমন অভিযোগ জমা দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের আরও বলেন, মাদারীপুরের সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, যার বিষয়ে আমি একটা ভিডিও করেছি। ‘অরগানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের একটি প্রজেক্ট। যেখানে বলা হয়েছে, আব্দুস সোবহান গোলাপ নিউইয়র্কে নয়টা প্রপার্টিজ করেছেন, যেগুলো তার নিজের নামে আছে এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেননি।

সুমন আরও বলেন, এমপি গোলাপ শপথ নেওয়ার সাত মাস পর আমেরিকান সিটিজেনশিপ ত্যাগ করেছেন। অথচ আমাদের কনস্টিটিউশনে (সংবিধানে) আছে, আপনার যদি বিদেশি নাগরিকত্ব থাকে, তাহলে কোনোভাবেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট বলেছে, বিষয়টি দুদক দেখবে।
ছাত্রলীগের নির্যাতন আইসিইউ থেকে ফেরা দুই ছাত্র মানসিকভাবে বিপর্যস্ত

ছাত্রলীগের নির্যাতন আইসিইউ থেকে ফেরা দুই ছাত্র মানসিকভাবে বিপর্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের নির্যাতনে আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) দুই ছাত্র সাকিব হোসেন ও জাহিদ হোসেনের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁরা। তবে এখনো মানসিকভাবে মুষড়ে আছেন দুই ছাত্র।

পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, হাসপাতালে আর কদিন থাকতে হবে, তা চিকিৎসকেরা শনিবার জানাবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।

ছাত্রশিবির সন্দেহে ৮ ফেব্রুয়ারি চমেক চতুর্থ বর্ষের চার ছাত্রকে প্রধান ছাত্রাবাসের তিনতলার একটি কক্ষে (১৭ সি) নিয়ে মারধর করা হয়। সাকিব ও জাহিদের সঙ্গে আরও দুজন ছাত্রকেও মারধর করা হয়। তাঁরা হলেন আবু রাইয়াত ও মোবাশ্বির হোসেন। দুজনই এখন তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অবশ্য নির্যাতিত ছাত্রদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ছাত্ররা কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।

ছাত্রলীগের নির্যাতনে আহত সাকিব ও জাহিদকে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের আইসিইউ থেকে ছাত্র কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেবিনে তাঁদের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে দুজন আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সাকিবের ভাই মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাকিবের শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। জাহিদও সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। হাসপাতালে থাকতে হবে কি হবে না, তা শনিবার জানাবেন চিকিৎসক।

শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও দুজনই মানসিকভাবে এখনো বিপর্যস্ত বলে জানান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, সাকিব ও জাহিদ দুজনই ঘুমের মধ্যে মাঝে মাঝে কেঁপে উঠছেন।


এই মানসিক অবস্থার কারণে তাঁরা দুশ্চিন্তায় আছেন।

চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারী অধ্যাপক রিজোয়ান রেহান প্রথম আলোকে বলেন, দুই ছাত্রের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাঁরা আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।



February 16, 2023

সিলেটকে হারিয়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

সিলেটকে হারিয়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

 চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা জিতল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা। গত বছর ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।  এর আগে ২০১৫ ও ২০১৯ সালেও বিপিএল ট্রফি ঘরে তুলেছিল কুমিল্লা।

টস হেরে আগে ব্যাট করা সিলেট ১৭৫ রানের পুঁজি নিয়ে ভালোই লড়ছিল কুমিল্লার বিপক্ষে। তবে সিলেটকে ম্যাচে রাখা রুবেল হোসেনই আবার ডুবিয়েছেন দলকে। ষষ্ঠ ওভারে ডিপ স্কয়ার লেগে ৮ রান করা জনসন চার্লসের ক্যাচ ছাড়েন রুবেল। পাঁচবারের চেষ্টায়ও সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি তিনি। জীবন পেয়ে সেই চার্লসই কুমিল্লাকে এনে দেন শিরোপা। ৫২ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।

সেই ক্যাচ মিস ছাড়াও ১৭তম ওভারে রুবেল খরচ করেন ২৩ রান। রুবেলের আক্ষেপ বাড়ানোর কাজটি করেন চার্লসই। ওই ওভারের শেষ তিনে বলে ১৬ রান তুলে নেন তিনি। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ২ উইকেট নেওয়া রুবেলের বোলিং ফিগার তাই কোটা পূরণ শেষে দাঁড়ায় ২-৩৯!

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কুমিল্লা করেছিল ঝোড়ো শুরু। তবে সুনীল নারাইনকে ফিরিয়ে সেই ঝড় সাইক্লোনে রূপ হতে দেননি রুবেলই। তৃতীয় ওভারে নারাইনকে ১০ রানে ফেরান তিনি। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানেন জর্জ লিন্ডে। তিনি ফেরান ২ রান করা ইমরুল কায়েসকে। এরপরই বড় জুটি বাঁধেন লিটন দাস ও জনসন চার্লস।